Powered by RND
PodcastArteFilmifootage

Filmifootage

FILMI FOOTAGE
Filmifootage
Ultimo episodio

Episodi disponibili

5 risultati 21
  • Linguistics Diversity in India[জানা অজানা] EP 04
    আমাদের সবার প্রিয় সিলিকন ভ্যালি হোক বা বাগিচা শহর, বেঙ্গালুরু বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক ছিমছাম গোছানো শহর। আর তার সঙ্গে অবশ্যই নানা জায়গার মানুষের মিলিত বসবাস। বিগত কয়েক দশকে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বেঙ্গালুরুর জনসংখ্যা। আর এভাবেই শহরটি হয়ে উঠেছে এক বহুজতিক বাসস্থান। শুধু বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ, তাই তো নয়। প্রত্যেক অঞ্চলের মানুষের ভাষা আলাদা, সংস্কৃতি আলাদা। আর এভাবেই বেঙ্গালুরু হয়ে উঠেছে দেশের ভাষাবৈচিত্র্যেরও এক কেন্দ্র। এমনটাই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা। গোটা বেঙ্গালুরু জেলাতে অন্তত ১০৭টি বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বাস। দেশের আর কোনো জেলায় এমন ভাষাগত বৈচিত্র্য নেই। ব্রুকিং ইনস্টিটিউশনের গবেষক শমিকা রবি এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউশনের অধ্যাপক মুদিত কাপুর মিলিতভাবে দেশের প্রতিটা জেলার ভাষামানচিত্র তৈরি করেছেন। আর তাতেই ধরা পড়েছে বেঙ্গালুরু জেলার এই পরিসংখ্যান। প্রসঙ্গত, ভারতের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় মাত্র ২২টি আঞ্চলিক ভাষা সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃত। এছাড়াও সরকারি কাজের বাইরে ৮৪টি ভাষাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে সমীক্ষকদ্বয়ের মতে, সারা দেশে ভাষার বৈচিত্র আরও অনেক বেশি। সমস্ত ভাষা এবং উপভাষা মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৫০০-র বেশি। আর সেই হিসাবে ভাষাগত বৈচিত্র্যের হিসাবে সারা পৃথিবীতে ভারত সবচেয়ে এগিয়ে। তবে এই ভাষার বণ্টন দেশের সর্বত্র সমান নয়। বেঙ্গালুরু জেলায় যেমন ১০০টিরও বেশি ভাষায় কথা বলেন মানুষ, তেমনই নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর এবং অসমের সোন্তিপুরেও সংখ্যাটা ১০০-র বেশি। তবে পন্ডিচেরির ইয়ানাম, বিহারের কাইমুর এবং তামিলনাড়ুর আরিয়ালুর জেলায় মানুষ ১০টিরও কম ভাষায় কথা বলেন। শমিকা রবি এবং মুদিত কাপুরের মতে, যে অঞ্চলে মানুষের ভাষাগত বৈচিত্র্য যত বেশি, সেখানে মানুষের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও বেশি। আর বহু সংস্কৃতির মানুষের সহাবস্থানের ফলে সেখানে মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির মানসিকতাও অনেক বেশি। ভারতের বুকে নানা ভাষাভাষীর মানুষের জনসংখ্যা নানারকম। তবে জনসংখ্যায় কেউ এগিয়ে বা পিছিয়ে থাকলেও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের দিক থেকে প্রতিটা ভাষাভাষীর মানুষই সমান সমৃদ্ধ। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে অধিকাংশ ভাষাই এখনও স্বীকৃতি পায়নি। ফলে তাদের সংরক্ষণের বিষয়েও কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। সাম্প্রতিক এই সমীক্ষা সেই দিকটাতেও গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। আজ এই পর্যন্তই। দেখা হবে অন্য কোনোদিন, অন্য এক এপিসোডে।
    --------  
    4:48
  • Stalking Cat[জানা অজানা] EP03
    পেশায় কম্পিউটার মেকানিক ডেনিস আভনার। কিন্তু মনের নেশায় তিনি একজন বাঘ। আর তাই একটু একটু করে বদলে ফেলেছেন নিজের চেহারাকে। অবশ্য আমেরিকার মানুষ তাঁকে ‘স্টকিং ক্যাট’ বা শুধুমাত্র ‘ক্যাট’ নামেই বেশি চেনেন।
    --------  
    4:49
  • EL PROFESSOR [জানা অজানা]EP02
    ‘মানি হেইস্ট’ প্রফেসরের অজানা কিছু তথ্য, যা কেউ জানে না বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছে স্প্যানিশ সিরিজ ‘লা কাসা ডি পাপেল’ যেটি পরে ইংরেজিতে ‘মানি হেইস্ট’ নামে প্রচার করে নেটফ্লিক্স। এই সিরিজের প্রতিটা চরিত্রই যেন নজর কেড়েছে সবার। তবে সব চরিত্র থেকে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে ‘প্রফেসর’ চরিত্রটি। যেটির রূপদান করেছেন স্প্যানিশ অভিনেতা আলভারো মোর্তে। আলভারো মোর্তে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরুর প্রায় ২০ বছর পর স্পেনে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। সাফল্যের মুখ দেখেন ২০১৭ সালে, ‘মানি হেইস্ট’ এর প্রফেসর চরিত্রে। এজন্য সেরা পুরুষ টেলিভিশন অভিনেতা হিসেবে ২০১৯ সালে ‘স্প্যানিশ অ্যাক্টরস ইউনিয়ন’ পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। প্রফেসরকে নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই। তার অজানা ১০টি দিক আজ আমরা তুলে ধরবো- * তিনি একজন ক্যান্সার থেকে বেঁচে ফেরা মানুষ। আজ্ঞে হ্যাঁ, ২০১১ সালে আলভারোর পায়ে একটি ক্যান্সারযুক্ত টিউমার পেয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এরপর যখন তিনি রোগের চিকিৎসার কথা ভাবেন, তখন তার মনে হয়েছিল যে, তিনি ৩ মাসে মারা যাবেন অথবা তার পা কেটে ফেলা হবে। তখন তিনি ভাবতে থাকেন, সমাজের মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছেন কিনা? তিনি সঠিক পথে চলছিলেন কিনা? ভাগ্যক্রমে তিনি চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠেন। তবে তার শরীরে ক্যান্সারের প্রভাব এখনো রয়ে গেছে। * যমজ সন্তানের জনক তিনি। পরিবারকে অনেক ভালোবাসেন আলভারো মোর্তে। তিনি এবং তার স্ত্রী ব্লাঙ্কা ক্লেমেন্টের যমজ দুটি মেয়ে রয়েছে। যদিও ব্যস্ততার কারণে পরিবারকে নিজের ইচ্ছার মতো সময় দিতে পারেন না প্রফেসর খ্যাত এ অভিনেতা। তিনি একজন থিয়েটার কোম্পানির মালিক ।ভালো অভিনেতার সঙ্গে আলভারো একজন ব্যবসায়ীও। ২০১২ সালে তিনি এবং ব্লাঙ্কা একটি থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন, যার নাম ‘৩০০ পিস্তোলাস’ অর্থাৎ ‘৩০০ বন্দুক’। * তিনি হলেন বিশ্লেষকধর্মী অভিনেতা। বেশিরভাগ অভিনেতা তাদের অভিনয় করা চরিত্রগুলো পড়তে ভালোবাসেন, তবে আলভারো এই বিষয়কে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তিনি সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পছন্দ করেন। এল প্রফেসর চরিত্রে অভিনয় করার সময় আলভারো বলেছিলেন, এই চরিত্রকে তিনি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি তার চরিত্রগুলো বিশ্লেষণ করতে পছন্দ করেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল-‘মানি হেইস্টে’র টাকা থাকলে তিনি কী করতেন? * যদি মানি হেইস্টের ভক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই ভেবেছেন এতোগুলো টাকা দিয়ে কী করা যায়। আলভারো মোর্তেও একই বিষয় চিন্তা করেছেন। যদি সত্যি সত্যি ‘মানি হেইস্টে’র মতো টাকা তার থাকতো, তবে তিনি তা আরো ভালো কাজে ব্যয় করতেন। তিনি জানান, যদি তার কাছে এখন ওই পরিমাণ টাকা থাকতো তবে তিনি তা করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের তহবিল অথবা শরণার্থীদের সহায়তায় ব্যবহার করতেন। আপনি কি জানেন-রিয়েল লাইফেরও একজন ‘প্রফেসর’ আলভারো: যদিও মানি হেইস্টের চরিত্রের সঙ্গে আলভারোর বাস্তবে জীবনের মিল নেই, তবে দু’জনের মধ্যে একটি আকর্ষণীয় বিষয় হল আলভারো বাস্তব জীবনেও একজন অধ্যাপক ছিলেন। কিছুদিনের জন্য তিনি ফিনল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন: * বর্তমানে অভিনয় সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটালেও আলভারো কিন্তু পড়াশোনা করেছেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। তার পরিকল্পনার মধ্যেই ছিল না অভিনেতা হওয়া। কিন্তু জীবনের সবকিছু তো হিসেব মতো হয় না। পেশাদার ইঞ্জিনিয়ার না হতে পারলেও প্রফেসর খ্যাতি তো ঠিকই মিলেছে! তিনি স্পেনে থাকতে ভালোবাসেন: * সাফল্যের পর অনেকে নিজের বাসা থেকে দূরে কোথাও বিলাসবহুলভাবে থাকতে চান। কিন্তু আলভারোর এটি মোটেও পছন্দ নয়। তিনি স্পেনে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং এখনো সেখানেই তার পরিবার নিয়ে বাস করছেন। * ‘মানি হেইস্ট’র সাফল্যে মিশ্র অনুভূতি ব্যাক্ত করেন আলভারো: * ‘মানি হেইস্ট’ সিরিজে অভিনয় করে আলভারো অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এই শো তাকে অনেক নতুন সুযোগ দিয়েছে, তবে আলভারো এখনো বুঝতে পারছেন না এটি কীভাবে নেয়া উচিত। তিনি বলেন, সিরিজটি আমার ক্যারিয়ারের জন্য সুফল বয়ে এনেছে। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ, তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছি, এই জন্য আমি আমার পরিবারকে এ থেকে যথাসম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা করি।
    --------  
    5:17
  • Sadaf khadem[অনুপ্রেরণা] EP14
    সাদাফ খাদেম (এক বঞ্চিত মেয়ের জীবন কাহিনি) দেশের হয়ে যদি কোন‌ও খেলোয়াড় পদক জেতে তা তো তার পক্ষে গৌরবের হয়‌ই, সেই সঙ্গে সে তার দেশকেও গর্বিত করে। আন্তর্জাতিক আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে দেশবাসী উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে থাকে তার পারফরমেন্সের দিকে। হতভাগ্য সাদাফ খাদেম তার প্রথম আন্তর্জাতিক লড়াইটা জেতার পর সেই রকমই হয়তো ভেবেছিল। কিন্তু হায়! তারপর থেকেই সে ভয়ে কাঁটা হয়ে আছে। ব্যাপারটা তাহলে খুলেই বলা যাক। সাদাফ খাদেম একজন ইরানি মেয়ে। যার কাহিনি যে কোন‌ও সিনেমাকেও হার মানাবে। খাদেম ছিল আর পাঁচটা ইরানি মেয়ের থেকে আলাদা। তার মা ইরানের এক নারীবাদী মহিলা। আর তাঁরই অনুপ্রেরণায় খাদেম ছিল অনুপ্রাণিত। তাদের পরিবার ইরানের এক অভিজাত ধনী পরিবার। ইচ্ছে করলে আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতো দিব্যি জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারত। কিন্তু, ওই যে কথায় আছে না, সুখে থাকতে ভুতে কিলোয়। তার অবস্থাও হল সেই রকমই। ভারতীয় মহিলা বক্সার মেরি কমের ভাবশিষ্য মেয়েটি টুকটাক বাস্কেট বল খেলত। ভাবশিষ্য বলছি কেন? তার কাছ থেকেই জানা গেছে যে ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদকের জন্য মেরির লড়াই সে দেখেছিল টিভিতে। আর সেই লড়াই দেখার পর‌ই মেয়েটির ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠল। স্বপ্ন দেখতে শুরু করল যে সে দেশের হয়ে বক্সিংয়ে অলম্পিক পদক জয় করবে। কিন্তু স্বপ্ন দেখলেই তো হল না, সেই স্বপ্ন পূরণ করার পরিবেশ এবং পরিকাঠামোও তো চাই। ইরানে তো মেয়েদের বক্সিংয়ের অনুমতিই নেই। মেয়েটি বারবার দেখা করল ইরানের বক্সিং ফেডারেশনের প্রধানের সঙ্গে। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করল যে কিক-বক্সিং, ক্যারাটে, জুডো বা কুস্তিতে যদি মেয়েরা অংশ নিতে পারে তবে বক্সিংয়ে অনুমতি পাবে না কেন? কিন্তু তার দুর্ভাগ্য যে বরফ গলল না। কিন্তু বক্সার তো তাকে হতেই হবে। একজন কোচের সন্ধান পাওয়া গেল। লুকিয়ে চুরিয়ে চলল প্র্যাকটিশ। কিন্তু সেই কোচ নির্জনতার সু্যোগ নিতে চাইলে তাকে দূর করে দিল মেয়েটি। এরপর খোঁজ পাওয়া গেল মাহিয়ার মনসিপোরের। প্রাক্তন ব্যান্টম‌ওয়েট চ্যাম্পিয়ান মনসিপোরের জন্ম ইরানে। তিনি ইরান এবং ফ্রান্স দুই দেশেরই নাগরিক। তার‌ই তত্ত্বাবধানে চলল সাধনা, তবে অবশ্যই প্রকাশ্যে নয়। প্র্যাকটিসের জন্য যে জায়গা ঠিক হলেই সেখান থেকে আসছে প্রবল বাধা। শেষে মেয়েটি তার নিজের গ্যারাজেই একটা প্র্যাকটিশ এরিনা বানিয়ে নিল। এর‌ই মধ্যে মেয়েটা মাঝেমাঝেই চলে যেত ফ্রান্সের রোয়ান শহরে। সেখানেও হত চুটিয়ে প্র্যাকটিশ। অবশেষে এল সেই শুভক্ষণ। ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল একটি আতর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মেয়েটি মুখোমুখি হল ফ্রান্সের অ্যান চৌভিনের। ততদিনে চৌভিন অনেকগুলো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিয়েছে। আর অন্যদিকে খাদেম একেবারে আনকোরা। লড়াইয়ের কোন‌ও অভিজ্ঞতাই তার নেই। কিন্তু তার ছিল অদম্য সাহস আর দেশের জন্য কিছু করে দেখানোর জেদ। ইরানের জাতীয় পতাকার রঙে, অর্থাৎ সবুজ ভেস্ট লাল শর্টস আর সাদা কোমরবন্ধ, নিজেকে সাজিয়ে উঠে গেল বক্সিং রিং-এ। আর কী আশ্চর্য! জীবনের প্রথম প্রতিযোগিতায়, তাও আবার আন্তর্জাতিক, যোগ দিয়েই পেয়ে গেল সাফল্য। লড়াই জেতার পর সে তার এই জয় উৎসর্গ করল সেই সব ইরানিদের প্রতি যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। সে বলল, 'This victory belongs to all the men and women who sacrificed their life for Iran. আনন্দে উদ্বেল সাদাফ খাদেম দেশে ফিরবে সঙ্গে তার প্রশিক্ষক মাহিয়ার মনসিপোর। মানসপটে দেখতে পাচ্ছে কীভাবে ইরানের মানুষ তাকে সংবর্ধনা জানাচ্ছে। কিন্তু শার্ল দ্যগল এয়ারপোর্টে এসেই শুনল যে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। বিমান তেহরানের মাটি স্পর্শ করলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে। কী অভিযোগ তার বিরুদ্ধে? আভিযোগ গুরুতর। সে সর্বসমক্ষে ভেস্ট আর শর্টস পরে খেলতে নেমেছিল। তদুপরি তার পরনে হিজাব‌ও ছিল না। আর তার সঙ্গে ছিল তার কোচ যে তার স্বামী নয়। অবশ্য ইরানের কর্তৃপক্ষ এই গ্রেফতারি পরোয়ানার কথা স্বীকার করেনি আর ইরানের বক্সিং ফেডারেশনের প্রধান হোসেন নুরি জানিয়ে দিয়েছেন যে ইরানে মেয়েদের বক্সিং স্বীকৃত নয় তাই তার এবং তার প্রশিক্ষকের কাজের দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে। ফলে খাদেমের দেশে ফেরা হয়নি। সে আছে ফ্রান্সেই। আর চালিয়ে যাচ্ছে প্র্যাকটিস। পাখির চোখ এখন শুধু ২০২৪ এর অলিম্পিকের দিকে। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল অলিম্পিকে সে কোন দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চায়। তার উত্তর, 'আমি একজন ইরানি। আমি আমার দেশ এবং সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি চাইব ইরানের প্রতিনিধিত্ব করতে। তবে যদি তা সম্ভব না হয় তবে আমি আমার সেকেন্ড হোম ফ্রান্সের হয়েই লড়তে চাই। সাদাফ খাদেম কোন দেশের প্রতিনিধিত্ব করে তা দেখার জন্য আমাদের ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
    --------  
    6:10
  • Bobita Rajput [অনুপ্রেরণা]EP 13
    গল্পটা মধ্যভারতের। গল্পটা জল না পাওয়া, এক অসহায় গ্রামের। মধ্যপ্রদেশের আগ্রোতা গ্রাম। ২০২০ সালে বৃষ্টি হয়েছিল দুবার। হ্যাঁ, ঠিক শুনছেন। দুবার। আবহাওয়া, বৃষ্টির অপ্রতুলতা এতটাই অসহায়তা তৈরি করে এই অংশের মানুষকে। একসময় করতও। এখন করে না। ববিতা আছে যে। কে ববিতা? উনিশ বছরের তরুণী ববিতা রাজপুত এবং এক স্বপ্ন ছোঁয়ার গল্প। শুষ্ক, বৃষ্টিবিহীন আগ্রোতা গ্রামের সেই তরুণী আর পাঁচটা মেয়ের মতোই অসহায়। অথচ চোখ, মন সুদূরপ্রসারী। ৭০ একরের একটা জলাশয় আছে, যা গরমের সময় শুকিয়ে কাঠ। ৭০ একরের ওই জলাশয়ের মাত্র ৪ একর এলাকা জল পেত বৃষ্টির অপ্রতুলতার জন্য। ওই ৪ একরভাগ করতে হত বুন্দেলখণ্ডের এই গ্রামের প্রায় ১৪০০ পরিবারকে। এমনিতেই বৃষ্টি নেই, যেটুকু যা হয়, পাহাড়ের এক প্রান্ত থেকে এসে ধুয়ে শেষমেশ মিশে যায় একটু দূরে বাচেরি নদীতে। সেই নষ্ট হয়ে যাওয়া দুর্মূল্য জলকে সুকৌশলে ব্যবহার করার কথা ভাবে ববিতা। ববিতা তখন উনিশ। কলা বিভাগে মাস্টার ডিগ্রি। ববিতার চোখে অন্য স্বদেশ। দীর্ঘ পরিকল্পনায় এগিয়েছিল সে। পাহাড়ের একটা বিশাল অংশ বন বিভাগের আওতায় ছিল। তাঁদের থেকে অনুমতি নিয়ে ১০৭ মিটার দীর্ঘ ট্রেঞ্চ তৈরি করল সে। নিজে হাত লাগাল। সঙ্গে এলেন আরও ২০০ জন মহিলা। সাত সাতটা মাস। ববিতারা আশা ছাড়েনি। অসম্ভব গরমের মধ্যেও শ্রম। করতে যে হবেই। কারণ তার পরেই দেখা যাবে আলো। দেখা যাবে জল। তার মানেই বেঁচে থাকা। জীবন। হাজারটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আইন টাইন দেখিয়ে গ্রামপঞ্চায়েত মানতে চায়নি প্রথমে। বনদপ্তরের জমিতে ট্রেঞ্চ কাটার অনুমতি চাওয়াও কষ্টসাধ্য ছিল। বোঝাতে কালঘাম ছোটাতে হয়েছিল ববিতাদের। এছাড়াও ছিল আরও নানান বিরোধ। শেষমেশ এল ২০১৮-র মাঝামাঝি সময়। এনজিও পরমার্থ সমাজসেবী সংস্থা ফারিস্তা হয়ে এল। গ্রাম পরিদর্শনের সময় তারাও অবস্থাটা বুঝল। শুরুতে বারোজন গ্রামীণ মহিলার এক দল তৈরি হল। নাম হল পানি পঞ্চায়েত। তারা নিজেদের বলত ‘জল সহেলি’। প্রথমে তিনটি ছোট ছোট চেক ড্যাম তৈরি করে পাহাড় থেকে জল ধরে রাখার কাজ শুরু হল। কাজে দিল এই প্রচেষ্টা। জলস্তর ১ কিলোমিটার উপরে উঠে আসায় বর্ষা পরবর্তী মরশুমে অনেকটাই কাজে এল কৃষকদের। এই এনজিও এবং ববিতাদের পানি পঞ্চায়েত অবশেষে বনবিভাগকে বোঝাতে সমর্থ হল। ২০১৭ সালে বনদপ্তরের অনুমতি পাওয়া গেল। কাজ শুরু হল ২০১৮-য়। শুরুতে ছিলেন ২০ জন মহিলা। অবশ্য একসময় সংখ্যাটা বাড়তে থাকে। তৈরি হল ১২ ফুট চওড়া ১০৭ ফুট দীর্ঘ ট্রেঞ্চ। তীব্র গরমের ভেতরেই কাজ করা। কারণ, বৃষ্টির আগেই কাজ শেষ করা চাই, যাতে বৃষ্টির জল জমা হতে পারে ট্রেঞ্চে। জলাশয়ের ৪ থেকে বেড়ে ক্রমশ ৪০ একর জমি জল ধরে রাখতে সমর্থ হল। মহিলারা সাধ্যমত ক্ষমতা দিয়ে যেটুকু পেলেন, তা তাঁদের প্রয়োজন মিটিয়ে দিল সন্দেহ নেই। কিছু বাড়তি পাওনাও হয়ে গেল। ভৌম জল ধরে রাখার ফলে মাটি আর্দ্র হয়ে যাওয়ায় সর্ষে, মটর ইত্যাদি ফসলের উৎপাদন ব্যাপক বেড়ে গেল। সাহায্য পেল আশেপাশে ছটি গ্রাম। ববিতার কাজ শুরু হয়েছে সবে। তার নেতৃত্বে মহিলারা সারি সারি গাছ পুঁতছেন শুষ্ক আগ্রোতা গ্রামে। জৈব চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন তাঁরা। করছেন কিচেন গার্ডেন। ছোট ছোট আশা, আলো এভাবেই কোলাজ তৈরি করুক এক বৃহত্তর ভারতবর্ষের। জল, আলো, জীবন নির্মিত হোক…
    --------  
    5:01

Altri podcast di Arte

Su Filmifootage

আমারা শোনাবো বাংলা ও বাঙালির প্রাণের কথা, মনের কথা, অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত।
Sito web del podcast

Ascolta Filmifootage, Tutto in etichetta e molti altri podcast da tutto il mondo con l’applicazione di radio.it

Scarica l'app gratuita radio.it

  • Salva le radio e i podcast favoriti
  • Streaming via Wi-Fi o Bluetooth
  • Supporta Carplay & Android Auto
  • Molte altre funzioni dell'app